সিএস, আরএস, বিএস এসব খতিয়ান চেনা একটু জটিল। কিন্তু এই আর্টিকেলটি আপনার সেই সমস্যা আশা করি চিরতরে দূর করে দিবে।
বিভিন্ন ধরণের খতিয়ান যেমন CS, SA/PS, RS, BS, BRS, MRR/ROR, DP, দিয়ারা খতিয়ান, সিটি জরিপ খতিয়ান গুলি কিভাবে চিনবেন। প্রত্যেকটি আলাদা ভাবে বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোকপাতকরা হয়েছে। যে বৈশিষ্ট্যটি অন্য কোন কোন খতিয়ানের সাথে মিল নেই তার শেষে unique লিখে দেয়া হয়েছে।
CS খতিয়ান চেনার উপায়
■লম্বালম্বি অর্থাৎ লিগ্যাল পেপার সাইজ। প্রথমদিকের RS এবং MRR ও লম্বালম্বি হয়।
■প্রথম পাতায় দুটি ভাগ থাকে, উপরিভাগে জমিদার এবং নিচের ভাগে রায়তের বর্ণনা থাকে। MRR এ এরকম থাকতে পারে।
■রে. সা. নং থাকে তবে RS খতিয়ানে ও রে. সা. নং থাকতে পারে।
■অপর পৃষ্ঠায় উত্তর সীমানার দখলদার নামে একটি কলাম থাকে (Unique)
■উপরে পরগনা লেখা থাকে তবে RS খতিয়ানে ও থাকতে পারে।
■পৃষ্ঠায় আড়াআড়ি বা ল্যান্ডস্কেপ। শেষের দিকের তৈরি RS, BS খতিয়ান ও আড়াআড়ি হয়।
■১ম কলামে সাবেক ও হাল খতিয়ান বা শুধু সাবেক খতিয়ান নং থাকবে। (unique)
■শেষের দিকে মন্তব্য কলামের পাশে রাজস্ব কলাম থাকে।
■পৃষ্টার নীচে "৪৯/৫০/৫১/৫২ অথবা ৫৩ ধারা অনুসারে"... লেখাটি দেখা যায়। (unique)
■১/২ পৃষ্টার হয়। আগে ২ পৃষ্টার এখন ১ পৃষ্টার হয়। ২পৃষ্টার হলে লম্বালম্বি আর ১ পৃষ্টার হলে আড়াআড়ি হয়।
■রে. সা. নং থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে।
■১ম পৃষ্টার নীচের বামদিকের কোণায় "১০৫/১০৬/১০৮/১০৯ ধারামতে"... লেখাটি উল্লেখ থাকে (Unique)
■তৌজি নং থাকতে পারে।
BS খতিয়ানের মতোই তবে পৃষ্টার উপরে সিটি জরিপ সিল মারা থাকে। মূলতঃ ঢাকা মহানগর এলাকার BS খতিয়ানকে সিটি জরিপ খতিয়ান বলে।
BRS খতিয়ান চেনার উপায়
এটাও এক ধরণের RS খতিয়ান। তবে যে RS খতিয়ানের পরে কোন জরিপ হয়নি সেটার যদি BS খতিয়ান সৃষ্টি হয় তাকে BRS খতিয়ান বলে।
MRR/ROR খতিয়ান চেনার উপায়
উত্তরবঙ্গ বিশেষ ময়মনসিংহ, কুমিল্লায় MRR খতিয়ান দেখা যায়। একই খতিয়ানকে ময়মনসিংহে ROR বলে। উক্ত খতিয়ান ও ২ পৃষ্টার দেখা যায়। প্রথম পৃষ্ঠায় জমিদার ও রায়তদারের নাম ঠিকানা বিবরণ থাকে।
দিয়ারা জরিপের খতিয়ান চেনার উপায়
১৮৬২ সালে ব্রিটিশ আমলে সুন্দরবন জরিপের মাধ্যমে এ জরিপের কাজ শুরু হয়। মূলতঃ চর, নদী সিকিস্তি জমি অর্থাৎ যে জমি প্রাকৃতিক উপায়ে নতুনকরে সৃষ্টি হয় তার উপর যে জরিপ করা হয় তার রেকর্ডকে দিয়ারা খতিয়ান বলে। রাজশাহী, নরসিংদী, বরিশাল ও চট্টগ্রামে এ ধরণের খতিয়ান দেখা যায়।
DP বা বুজরত খতিয়ান চেনার উপায়
এটা একধরণের খসড়া খতিয়ান। জরিপকালীন সময়ে এই খসড়া খতিয়ান প্রস্তুত করে প্রাথমিক ভাবে জমির মালিক কে দেয়া যায় যার সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পরবর্তীতে চূড়ান্ত হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
আশাকরি সর্বপ্রকারের খতিয়ান চেনা হয়ে গেল।
©লেখাটি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত।
লেখক: শহিদ রাসেল
আইনজীবী, চট্টগ্রাম জজ কোর্ট
6 মন্তব্যসমূহ
আপনার আর্টিকেলটি ভাল কিন্তু ছবিগুলা একটাও বুঝা যায় না।ভাল ছবি দিলে আর্টিকেলটি বুঝতে সুবিধা হবে
উত্তরমুছুনঅসংখ্য ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনPicture quality aro valo hole bujte onek shohoj hoito
উত্তরমুছুনছবি গুলো একটু ক্লিয়ার দেওয়ার অনুরোধ রইল
উত্তরমুছুনজমি
উত্তরমুছুনলেখা পড়ে ভালো লেগেছে তবে ছবি গুলো স্পষ্ট হলে আরও ভালো হতো
উত্তরমুছুনIf you have any question, please let me know.